অবরোধের মধ্যে দূরপাল্লার বাস চলাচল ক্রমেই বাড়ছে। রয়েছে যাত্রীর আনাগোনাও। বিএনপির ডাকা সপ্তম ধাপের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, অবরোধে যাত্রীর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দূরপাল্লার বাসও। এরপর অবরোধ থাকলেও বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তারা। কারণ এতে বাস মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বাস না চললে শ্রমিকদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা রুটের পর্যটক পরিবহন, নবীনগর রুটের তিশা গোল্ডেন, গোপালগঞ্জ রুটের টুঙ্গিপাড়া পরিবহন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ রুটের সুনামগঞ্জ এক্সপ্রেস, মিতালী এক্সপ্রেস, মামুন পরিবহন ও ইকোনো সার্ভিস, চট্টগ্রাম রুটের সিডিএম, মাদারীপুর রুটের সার্বিক পরিবহনসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসগুলো সায়েদাবাদে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিল। এরমধ্যে কোনো কোনোটি টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে।
নোয়াখালী রুটে চলাচল করা হিমাচল পরিবহনের কাউন্টারের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের চেয়ে গাড়ি অনেক বেশি, যাত্রীরাও আসছেন। আগে তো মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হতো না। সকালে আমাদের একটা গাড়ি গেছে। আর একটা দাঁড়ানো আছে, সেটাও যাবে।
তিশা পরিবহনের হেলপার মামুন হোসেন বলেন, অবরোধে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রিপ দিতে হচ্ছে। কোনোরকম খরচটা ওঠে। আজ গাড়ি অন্যদিনের তুলনায় বেশি, সে অনুযায়ী যাত্রী কম।
সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আজ সায়েদাবাদে যে পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে কোনো অবরোধ নেই। আল্লাহর রহমতে সব জায়গার গাড়ি যাচ্ছে। আপনি বলতে পারেন আজকের দিনের পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক দিনের মতোই।
তিনি বলেন, আগে তো যাত্রীই আসতো না। এখন ২০-৩০ জন যাত্রী নিয়ে এক একটি বাস ছাড়ছে। যাত্রীও ভালো হচ্ছে। মানুষ আর কত ঘরে থাকবে। আমাদের কিস্তির গাড়ি। আবার শ্রমিকের পেটে ভাত নাই। শ্রমিকরা গাড়ি না চালালে ভাত জোটে না। আমরা মালিকরা কিস্তির টাকা না দিতে পারলে ব্যাংক গাড়ি নিয়ে যাবে। আমরা আর কত অবরোধ মানবো।
ঢাকা জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম সারওয়ার বলেন, অবরোধে দূরপাল্লার বাস চলাচল ক্রমেই বাড়ছে। আমরা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকেই যাচ্ছি।