মিরপুরে স্পিনারদের রাজত্ব হবে, সেটা স্পষ্ট ছিল প্রথম দিন থেকেই। নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ১৫ উইকেটের পতন ঘটেছিল। এরপরেই বোঝা গিয়েছিল পিচের চরিত্র। মাঝে দুদিন বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতার জন্য ঢাকা টেস্টে বিঘ্ন ঘটেছিল। ৪র্থ দিন পিচ পুরোপুরি স্পিনবান্ধব। এজাজ প্যাটেল তার ৬ উইকেট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচের গতি কেমন হতে পারে।
সেটাই এবার ঘটছে বাংলাদেশের জন্য। মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা পুরোপুরি চেপে বসেছেন কিউই ব্যাটিং লাইনআপের উপর। টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ের পর কেইন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলসকেও সাজঘরে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
টার্গেট মাত্র ১৩৭। ইনিংসের শুরুতেই বাংলাদেশের দরকার ছিল দারুণ কিছুর। সেটাই এনে দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওভার থেকেই কনওয়েকে ভুগিয়েছিলেন নিজের দুর্দান্ত ইনসুইং দিয়ে। লাঞ্চের পরপরই সেই ইনসুইং দিয়েই কনওয়ের উইকেট তুলে নেন শরিফুল। নিচু হয়ে আসা বলটায় খেই হারান এই ওপেনার। বাংলাদেশ পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত উইকেট। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬১। জয় পেতে হলে তাদের প্রয়োজন আরও ৭৬ রান এবং বিপরীতে টাইগারদের প্রয়োজন ৫ উইকেট।
কেইন উইলিয়ামসন এর আগেও বহুবারই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন। ঢাকা টেস্টের এই ইনিংসেও তাকে নিয়েই ছিল দুশ্চিন্তা। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের শুরুটাও ভাল ছিল। দেখেশুনে বেশকিছু বাউন্ডারিও তুলে নিয়েছিলেন। অবশ্য তাকে বাড়তে দেননি তাইজুল। এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন, তবে তাইজুলের বাড়তি সুইং ব্যাট ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটেরক্ষক সোহানের কারছে। স্ট্যাম্পিংয়ে শেষ হয় উইলিয়ামসনের ইনিংস।
আর হেনরি নিকোলস ফিরেছেন মিরাজের স্পিনে। মাপা এক বলে লেগবিফোরের শিকার এই ব্যাটার।