বাজারে এসেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের চালান বাজারে আসতে শুরু করেছে। এই পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজও এসেছে। দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, গত রাতে ঢাকার বাজারে যে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঢুকেছে, তা পাইকারিতে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় এর দাম বেশ কম। এ জন্য এই ধরনের পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

ঢাকার শ্যামবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বছরের এই সময়ে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ এমনিতেই কম থাকে। দেখা যায়, আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ এসে বাজার দখল করে। তবে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার খবরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। যেহেতু নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করেছে, তাতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম নেমে আসবে।

মুড়িকাটা ধরনের পেঁয়াজের অন্যতম উৎপাদন এলাকা উত্তরাঞ্চলের পাবনা জেলা। এই জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মুন্নাফ ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক শিপন হোসেন বলেন, চার-পাঁচ দিন হলো হাটে আগাম জাতের (মুড়িকাটা) নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এই পেঁয়াজ পাইকারিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, আগাম পেঁয়াজ বাজারে উঠলেও আগামী কিছুদিন এই পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমদানির বিকল্প উৎসও খুঁজতে হবে। পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারতের পর কাছের বিকল্প দেশ মিয়ানমার। সেখান থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারজাত করা যায়। এ ছাড়া সম্ভাব্য অন্যান্য উৎস হলো পাকিস্তান, মিসর, চীন ও নেদারল্যান্ডস। তবে এসব দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে সময় লাগে ১৩ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত।

আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে মিয়ানমার সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প উৎস হলেও এই সুবিধা এখন পাওয়া যাবে না। কারণ, দেশটির রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষের ফলে গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২১ দিন টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল। ৫ ডিসেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে অল্প কিছু পণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

শেয়ার করুন