প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায় ভোট দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার নৌকা যখন ক্ষমতায় এসেছে, মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। এ নৌকা নূহ নবীর নৌকা। এ নৌকায় মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য করেই বিএনপি নির্বাচন ধ্বংস করেছে। একজন লন্ডনে বসে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে, আরেকজন গুলশানে বসে মনোনয়ন বিক্রি করেছে। এ ছাড়া পল্টন থেকেও আরেকবার বিক্রি করেছে। এভাবে তারা নির্বাচনকে বাণিজ্যে পরিণত করে নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ মারে। এর বিরুদ্ধে আপনাদের সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এতো সাহস কোথা থেকে পায়? ওই লন্ডনে বসে এক কুলাঙ্গার হুকুম দেয়, আর কিছু লোক এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে এটা তাদের মনে রাখা উচিত।
এরে আগে আজ বিকেল ৩টার দিকে জনসভায় উপস্থিত হন তিনি। দলটির নেতাকর্মীরা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। পরে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জনসভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ।
হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে দেশে অরাজকতা শুরু করেছে। তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। নারী-শিশু, পুলিশ, সাংবাদিক সবার ওপর হামলা করছে। আমি মনে করি, মানুষ তাদের কখনো মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, মানুষ এত শান্তিতে ছিল। আজ এত কষ্টের পরেও, কোভিড-১৯ এর অতিমারি-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন সবকিছুর পরও আমরা অর্থনীতির চাকা ধরে রেখছি, ভর্তুকি দিয়ে দিয়ে তাদের খাবার দিচ্ছি। আমরা সব রকম ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। রাস্তা-ঘাট সবকিছুরই তো উন্নতি করেছি।
তিনি বলেন, কোথায়, কোন জায়গাটা আমরা বাদ রেখেছি, আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নাম দিয়ে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে? ভোট জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। সেই ভোট জনগণ দেবে। সেই ভোট দিতে জনগণ আসবে, তাদের বাধা দেওয়া, তাদের খুন করা- এটার অধিকার কারও নেই। এটা বাংলাদেশের কেউ মানবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।