মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের

মত ও পথ ডেস্ক

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমাও ব্যবহার করছে তারা। তাই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি। খবর রয়টার্সের।

২০২১ সালে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দলকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে সামরিক জান্তা। এরপর থেকে তারা বিদ্রোহীদের প্রবল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। সম্প্রতি চীনের সীমান্তবর্তী শান ও রাখাইন রাজ্যে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা বাহিনী।

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে শান রাজ্যে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে বিপুল পরিমাণ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে সামরিক জান্তা। অস্ত্রবিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ থেকে এই প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জান্তা সরকারের সেনাদের সশস্ত্র লড়াই চলছে। এই জোটের সদস্য তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) বলেছে, সামরিক জান্তার হামলায় একজন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

১০ জন স্থানীয় বেসামরিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের পাক তাও শহরের লুট, নির্বিচার গ্রেপ্তার, অমানবিক আচরণ ও নির্যাতন করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স প্রোগ্রামের পরিচালক ম্যাট ওয়েলস বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রক্ত পিপাসু ভূমিকা নেওয়ার ইতিহাস আছে। তারা নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিক মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নির্দয় প্রতিক্রিয়া দীর্ঘদিনের চর্চা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন