নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা দেশের জনগণের প্রতি : সিইসি

মত ও পথ ডেস্ক

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সহিংস পন্থায় যদি নির্বাচনের বিরুদ্ধাচরণ করা হয় বা ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই সংকট দেখা দেবে। তবে সেই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। এখানে প্রতিরোধ আসতে পারে, তারপরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আজ সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আইন-বিধিবিধানসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

universel cardiac hospital

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে সর্বজনীনতা কাম্য ছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি অংশ এই নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে। এতে অসুবিধে নেই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে জনমত সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সহিংস পন্থায় যদি বিরুদ্ধাচরণ করে বা ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়, তাহলে অবশ্যই সংকট দেখা দেবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক ‘ডাইমেনশন’ (মাত্রা) আছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা দেশের জনগণের প্রতি, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি। এ নির্বাচনে যেমন দেশীয় ‘ডাইমেনশন’ আছে, একইভাবে আন্তর্জাতিক ‘ডাইমেনশন’ আছে। এটাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখাতে হবে, এ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অনেকে বলেন, নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে দিলে ভালো হতো। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনো রকম এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নির্বাচন স্থিতিশীল অবস্থানে এসে থিতু হতে পারেনি।

নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকার বাইরে সফরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, অনেকে বলেছেন, ভোটাররা প্রশ্ন করেন, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না? যেকোনো কারণেই হোক একটি অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা ছিল। ওই নির্বাচন সর্বজনীন হয়ে ওঠেনি। সেখানে সহিংসতা হয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক উঠেছিল। পাবলিক পারসেপশন ইতিবাচক হয়নি, এটাই সত্য। নির্বাচন শুধু সুষ্ঠু হলে হবে না, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অবাধ হয়েছে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।

শেয়ার করুন