১৪০০ কোটি ডলারের অনলাইন ‘কেলেঙ্কারিতে মিয়ানমার জান্তা’

মত ও পথ ডেস্ক

চীনা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের শান রাজ্যে পরিচালিত ‘অনলাইন কেলেঙ্কারি সিন্ডিকেটগুলো’ বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার আয় করছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় রাজ্যর চারটি পরিবার ওই সিন্ডিকেট পরিচালনা করত। অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াইরত একটি বিদ্রোহী আদিবাসী সেনা কমান্ডার এমনটি বলেছেন।

মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) নেতা পেং ডেরেন নববর্ষের বার্তায় সমর্থকদের এমনটি জানান। মিয়ানমারের স্বাধীন সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ইরাবতী’ এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে।

জোট এবং জান্তা বলেছে, সম্মিলিতভাবে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এই সপ্তাহে কোকাং অঞ্চলের প্রধান শহর এবং অনলাইন কেলেঙ্কারির অভিযানের কেন্দ্রস্থল লাউকাইয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জান্তা সৈন্যদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পরে তারা এ নিয়ন্ত্রণ নেন। শত শত জান্তা অফিসার এবং সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে।

লাউকাইয়ের অনলাইন কেলেঙ্কারি কেন্দ্রগুলোতে কাজ করা পাঁচ শতাধিক থাই নাগরিক, যারা লাউকাইং নামেও পরিচিত, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লড়াইয়ের স্থবিরতার সময় তাদের উদ্ধার এবং নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৭৪ জন মানবপাচারের শিকার হন বলে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।

দ্য ইরাবতী বিদ্রোহী সেনা পেংকে উদ্ধৃত করে জানায়, চারটি বড় পরিবার ওই এলাকায় শতাধিক অনলাইন কেলেঙ্কারি চালাত। যেগুলো ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স আক্রমণের আগে প্রায় লক্ষাধিক লোককে এসব কেলেঙ্কারির কাজ করাতে বাধ্য করা হতো। কেলেঙ্কারি কেন্দ্রের বেশিরভাগ কর্মচারী চীনের নাগরিক বা চীনা ভাষায় কথা বলতেন; কারণ কেলেঙ্কারির লক্ষ্য ছিল মূলত চীনা জনগণ, যাদের বিলিয়ন ডলারের প্রলোভন দেখিয়ে এসব কাজে জড়ানো হতো।

শেয়ার করুন