এবার চলে গেলেন কিংবদন্তি ফুটবলার বেকেনবাওয়ার

মত ও পথ ডেস্ক

কিংবদন্তি ফুটবলার বেকেনবাওয়ার। ফাইল ছবি

দুদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি, খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করা প্রথম ব্যক্তি মারিও জাগালো। ফুটবল বিশ্ব তার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার আরও একজনের মৃত্যু সংবাদ শুনলো।

জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার মৃত্যুবরণ করেছেন। ফুটবলার ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করা তিন ব্যক্তির মধ্যে তিনিও একজন। মারিও জাগালো, বেকেনবাওয়ার এবং অন্যজন ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম।

মৃত্যুকালে জার্মান এই কিংবদন্তি ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ‘ডার কাইজার’ নামেও পরিচিতি ছিলেন তিনি। তার পরিবার আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গতকাল মারা গেছেন তিনি।

শুধু খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করাই নয়, পেলে-ম্যারাডোনা-ইয়োহান ক্রুয়েফদের সঙ্গে সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ততম তালিকায়ও রাখা হয় তার নাম। বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, আমাদের কারও স্বামী, কারও বাবা- ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার মৃত্যুবরণ করেছেন। সবার কাছে অনুরোধ, নীরবতার মধ্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানাবো। তবে অহেতুক কোনো প্রশ্ন করে বিরক্তি তৈরি করবো না।’

১৯৯০ সালে জার্মান দলের অধিনায়ক এবং বেকেনবাওয়ারের অন্যতম সেরা বন্ধু লোথার ম্যাথাউস নিউজ পেপার বিল্ডকে বলেন, ‘ধাক্কাটা খুব গভীর। যদিও আমি জানতাম যে, ফ্রাঞ্জ খুব একটা ভালো ছিল না। তার মৃত্যু ফুটবলের জন্য ক্ষতি। সর্বোপরি জার্মানির জন্যও। তিনি ছিলেন সর্বকালের সেরা একজন ফুটবলার এবং কোচ। ছিলেন দুর্দান্ত এক ব্যক্তিত্ব।’

১৯৭৪ সালে বেকেনবাওয়ারের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল তখনকার পশ্চিম জার্মানি। এরপর ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের কোচও ছিলেন তিনি। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে রানারআপ দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০ বিশ্বকাপে তার দল হয়েছিলো ৩য়।

শুধু বিশ্বকাপজয়ী তারকা হিসেবেই নয়, আরও অনেক সাফল্য এসে ধরা দিয়েছিলো তার হাতে। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে হ্যাটট্রিক ইউরোপিয়ান কাপ জয় করেছিলেন তিনি। বিখ্যাত ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন বেকেনবাওয়ার।

জার্মান ফুটবল এবং বায়ার্ন মিউনিখের সর্বকালের সেরা পোস্টারবয় হিসেবেও পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিম জার্মানির হয়ে মোট ১০৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। গোল করেছিলেন ১৪টি।

শেয়ার করুন