‘ফিলিস্তিনে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হলে ইসরায়েলের জন্য সুযোগ রয়েছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজা ও পশ্চিম তীরকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি কার্যকর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের জন্য এখনো আস্থা অর্জনের সুযোগ রয়েছে বলে দেশটির শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনি ব্লিঙ্কেন।

মঙ্গলবার তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

মধ্যপ্রাচ্যে দুইদিনের সফর শেষে সোমবার তেল আবিবে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সফরে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর বক্তব্য শুনেছেন। তেল আবিব সফরে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও নেতানিয়াহুর কাছে আরব নেতাদের বার্তা তুলে ধরেছেন তিনি।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, গাজা নিয়ে ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বক্তব্য ও নীতির বিপরীতে মার্কিন নীতি ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব, আরব আমিরাত, জর্ডান ও কাতারের বক্তব্য নিয়ে তেল আবিবে গেছেন তিনি। এই সফরে গাজায় বেসামরিক লোকদের হতাহতের সংখ্যা কমানো এবং অবকাঠামো রক্ষায় জোর দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।

এর আগে রবি-সোমবার দুই দিনের সফরে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, জর্ডান ও কাতারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রী গণমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের মানুষের বৈধ অধিকার নিশ্চিত করার এবং এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন সালমান। তারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় জোর দিয়েছেন। এছাড়া কাতার, জর্ডান ও আরব আমিরাতের শীর্ষ নেতারাও ব্লিঙ্কেনকে এই বার্তা দিয়েছেন।

সেসব বার্তা এবং মার্কিন নীতি জানাতে এবং নেতানিয়াহু সরকারক চাপ দিতেই এবারের এই তেল আবিব সফর বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্য সিএনএন। কাতারের রাজধানী দোহায় ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, গাজায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের পুনর্বাসন যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করি। গাজা ও পশ্চিম তীরের ভূমি সংকোচনকে সমর্থন করি না। ফিলিস্তিনের দুই অংশকে একিভূত করেই স্বাধীন ও কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দিই।

সিএনএন বলছে, বাইডেন প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের উপর আক্রমণাত্মক প্রতিরোধ এবং বেসামরিকদের ক্ষতি কমানোর জন্য চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের প্রতি অবিরাম সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

শেয়ার করুন