যে কোনো পরিস্থিতিতে সীমান্তের অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হলে রাষ্ট্রের ‘পূর্ণশক্তি’ দিয়ে তার জবাব দেবে পাকিস্তান। শুক্রবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ইরানের হামলায় দুই শিশু নিহত হওয়ায় শুক্রবার জরুরি এনএসসির জরুরি এ বৈঠক হয়। খবর জিও নিউজের।
ইরান গত মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ওই হামলা চালায়। এর পাল্টায় বৃহস্পতিবার ইরানে রকেট ও ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। তাদের এ হামলায় চার শিশুসহ নয়জন নিহত হন।
পাল্টাপাল্টি এ হামলার পর পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির–আবদোল্লাহিয়ান দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার অবসানে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মতি দিয়েছেন। ইরানের সঙ্গে সব বিষয়ে কাজ করতে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবশ্য ইরান হামলা চালানোর পরপরই তেহরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি ইসলামবাদে নিয়োজিত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। সম্পর্কের উন্নতি হলে রাষ্ট্রদূতেরা আবার দ্রুতই নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরতে পারেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক অংশীদার পাকিস্তান ও ইরান উভয়ের প্রতি সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। আর দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
পাকিস্তানের সামরিক–বেসামরিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্ষদ এনএসসির এই বৈঠকে সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, উসকানি ছাড়া অবৈধভাবে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করলে সশস্ত্র বাহিনী পেশাগতভাবে, যথাযথ শক্তি দিয়ে তার যৌক্তিক জবাব দেবে।