ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঠেকানোর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। একই সঙ্গে নির্বিচার হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আইসিজের নির্দেশনার পর একে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলকে একঘরে করতে এবং গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অপরাধগুলো তুলে ধরতে আইসিজের রায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। খবর বিবিসির।
আইসিজের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিও। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আইসিজের বিচারকেরা (গাজার) প্রকৃত চিত্র ও আইনের সঠিক মূল্যায়ন করেছেন। তারা মানবতা এবং আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
আইসিজের আদেশের পর আদালতের বাইরে মামলাকারী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পানদোর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া আদালতের এ নির্দেশ আসলে কোনো কাজে আসবে না। আমি আশা করেছিলাম, আদেশে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি যুক্ত থাকবে। তারপরও আদালত যেসব নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে আমি সন্তুষ্ট।
এ সময় উপস্থিত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ইসরায়েল আইসিজের নির্দেশ মানবে বলে মনে করেন কি? জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের বিষয়ে তিনি কখনোই আশাবাদী ছিলেন না। তবে তার প্রত্যাশা, ইসরায়েলের ‘শক্তিশালী বন্ধুরা’ দেশটিকে নির্দেশগুলো মেনে চলার পরামর্শ দেবে।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে আইসিজের আদেশের কার্যকর বাস্তবায়ন চায়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এক্স বার্তায় আইসিজের আদেশকে ‘মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।