চলতি বছরে দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি)। জেলায় সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পত্র মোতাবেক ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক অধিদপ্তরের সীদ্ধান্ত মোতাবেক তাপমাত্রা কম থাকায় আজ ২৮ জানুয়ারি একদিন জেলার সকল বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
মমতাজ হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, সকালে কনকনে ঠান্ডা থাকলেও দুপুরের পর থেকে রোদ ওঠায় অনেকটা স্বস্তি আসে। তবে আমরা শ্রমজীবী মানুষ সকালে কাজে যেতে না পারলে মালিক কাজে নেয় না।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জানুয়ারি মাসজুড়েই জেলায় তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৫ডিগ্রি। যা চলতি বছরে এ জেলার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে সেটিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এর নিচে নামলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।