সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই: গণপূর্তমন্ত্রী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা সচেষ্ট আছেন। আমরাও তার সঙ্গে আছি, সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি দেশ দিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিন আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার প্রতিটা আমি পালন করবো।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং কারসাজি করার মাধ্যমে যারা বাজারকে অস্থির করতে চান তাদের আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবো না। কোনও ধরনের মজুতদারি সহ্য করা হবে না। যারা মজুতদারি করে বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করবে তাদের অর্থদণ্ড নয়, জেলে পাঠানো হবে।’

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যারা আছেন তাদের বলতে চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য আপনারা অনেক চেষ্টা করেছিলেন। ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হয়েছে। শুধু যে আমরা বলছি-এমন নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করবেন, তাতে আমরা বাধা দেবো না। আন্দোলনের নামে কোনও চক্রান্ত করা হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।

মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভূমিদস্যুতাকে কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বলতে চাই- আপনাদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। আমি তাদেরকে ধ্বংসের পথে যেতে দিতে পারি না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।

পরে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা ফুলেল শুভেচ্ছাসহ ক্রেস্ট এবং বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেন। অনুষ্ঠানে পৌরসভার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর হাতে চাবি তুলে দেন নগর মাতা বেগম নায়ার কবীর।

এদিকে সংবর্ধনা সভাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে মাঠে লাখো জনতা উপস্থিত হয়। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। দলীয় নেতাকর্মীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হোন স্টেডিয়ামে। শহরকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শিউলি আজাদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ‘নগর বাউল’ খ্যাত জেমসসহ অন্যান্য শিল্পীরা।

শেয়ার করুন