গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ রোধে একটি নীতিমালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলের পর ওই নীতিমালাটি করা হয় বলে সোমবার জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী।
গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণের পরীক্ষা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি ওই রিটটি করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন।
গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। স্বাস্থ্যসচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুলের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ রোধে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন রিগার্ডিং প্যারেন্টাল জেন্ডার সিলেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নীতিমালাটি তৈরি করেছে বলে জানান আইনজীবী ইশরাত হাসান।
তিনি বলেন, রুলের পর ১৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির এই নীতিমালা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন করেছে। রুলের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে হলফনামা আকারে লিখিত বক্তব্যসহ নীতিমালার অনুলিপি হাতে এসেছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান আরও বলেন, নীতিমালার মূলকথা হচ্ছে মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী কোনো হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবরেটরি তথা কোনো প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি কোনো ধরনের লেখা, ছবি, চিহ্ন বা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না। গর্ভের শিশুর পরিচয় প্রকাশ পায়, এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।
নীতিমালায় গর্ভের শিশুর পরিচয় প্রকাশ রোধে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, পরিবার পরিকল্পনাকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, রুল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানির জন্য রয়েছে। রুলের ওপর চলতি সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।