নানা কারণে ঘটনাবহুল ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবিটি। আট বছর আগে শুটিং শুরু হয়ে চার বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও মুক্তি পেতে এতটা সময় লেগে যায়। এদিকে মুক্তির ঠিক দুই দিন আগে ছবির অন্যতম প্রধান অভিনেতা আহমেদ রুবেলের আকস্মিক মৃত্যু সবাইকে হতবাক করে দেয়। অবশেষে সব প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে নির্মাণ শুরুর আট বছর পর আজ শুক্রবার থেকে দেশের ২৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত সিনেমাটি।
মুক্তির প্রথম দিনেই বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে ছবিটি। বিশেষ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাল্টিপ্লেক্সগুলো প্রায় হাউসফুল যাচ্ছে। সিঙ্গেল হলেও দর্শকের উপস্থিতি দারুণ।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবিটি উৎসর্গ করা হয়েছে ছবির অভিনয়শিল্পী আহমেদ রুবেলকে। ২০১৬ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল। এরপর কয়েক দফায় শুটিং পিছিয়ে, নানা জটিলতা পেরিয়ে ২০২০ সালে এর চিত্রায়ণ শেষ হয়। পরে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হতে লেগে যায় আরও তিন বছর। গত বছর ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয় বাংলাদেশের সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’। প্রিমিয়ারের পর পরিচালকের সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটির প্রশংসা করেছিলেন বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচকেরা।
সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ এ উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছিল। উৎসবের আমন্ত্রণে অংশ নেন পরিচালক নূরুল আলম আতিক ও অভিনয়শিল্পী তারিক আনাম খান। আলফা-আই প্রযোজিত এ সিনেমায় সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছে চরকি।
‘পেয়ারার সুবাস’ ছবির প্রেক্ষাগৃহের তালিকা নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করে এভাবেই লিখেছেন প্রধান চরিত্রের আরেক অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় অভিনেতা আহমেদ রুবেলকে উৎসর্গকৃত চলচ্চিত্র “পেয়ারার সুবাস” আজ থেকে আপনার কাছের প্রেক্ষাগৃহ।’
শুটিং শেষে যে ছবি মুক্তিতে এতটা সময় লাগল, সেই ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবির নাম গত বুধবার রাতে আহমেদ রুবেলের মৃত্যুতে অনেকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এ দিন সন্ধ্যায় ছবির প্রিমিয়ারে গাজীপুর থেকে গাড়ি চালিয়ে আসার পর প্রেক্ষাগৃহে ওঠার আগমুহূর্তে মারা যান আহমেদ রুবেল।
এখন দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবিটি। মৃত্যুর দুই দিন আগে ছবিটি দেখতে আগ্রহী করতে একটি বার্তা দিয়েছিলেন আহমেদ রুবেল। সেখানে তাঁর ভাষ্য ছিল এ রকম, ‘৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে “পেয়ারার সুবাস”। এই ছবিতে তারিক আনাম খান, জয়া আহসান, আমিসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছি। মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা ছবিটি দেখতে আপনারা হলে চলে আসুন। দেখা হচ্ছে সিনেমা হলে।’
সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় আহমেদ রুবেল, জয়া আহসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, সুষমা সরকার, নূর ইমরান মিঠু, মাহমুদ আলম প্রমুখ।