জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৈঠকে উভয় নেতা পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
মিউনিখের স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্সের ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে একই স্থানে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী। এর আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
একই দিন একই হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। এ বৈঠকেও পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সেখানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক সেক্রেটারি লর্ড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগ দিতে তিনদিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যাচ্ছেন তিনি।
সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বশান্তির মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৬৩ সাল থেকে মিউনিখ শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক বার্ষিক সভা মিউনিখ কনফারেন্স। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের ৬০তম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলেনস্কির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক প্রসঙ্গে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আমাদের অবস্থান সবসময় পরিষ্কার। আমরা সবসময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি এবং স্থিতি বিরাজ করুক। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে সময় দিয়েছেন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাই হবে।
জেলেনস্কির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো দূরত্ব তৈরি হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।