সাগর-রুনি হত্যা: ১০৬ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ফের পিছিয়ে আগামী ২ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের অতিরিক্ত সুপার খন্দকার শফিকুল আলম কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মাহবুবুল হক পরবর্তী তারিখ রাখেন। শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এসব তথ্য জানান।

২০১২ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডের পর গত ১২ বছরেও কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ১০৬ বার প্রতিবেদন দাখিল পেছানো হলো। প্রতিবেদন দিতে দেরি হওয়ায় এর আগে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

universel cardiac hospital

এর আগে ২০২০ সালের ২ মার্চ আলোচিত এ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয় র‍্যাব। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ডে দু’জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন। সাগর-রুনির ব্যবহৃত কাপড়ের সঙ্গে তাদের ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে উদ্ধার করা হয় তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ।

এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি শেরেবাংলা নগর থানার মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে এর তদন্ত ভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে হত্যা মামলার তদন্ত ভার র‍্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।

শেয়ার করুন