প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের জানাজা আজ, দাফন বনানী কবরস্থানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলালকে আজ সোমবার বাদ জোহর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে সকাল আটটায় এলেনবাড়ী জামে মসজিদ এবং বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার জানাজা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। রোববার রাত আটটার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ইহসানুল করিম বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন। ইহসানুল করিম এর আগে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি ১৯৫১ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রয়েছে।

ইহসানুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর হয়ে পশ্চিম রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন।

ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে বাসসের ব্যুরোপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি, পিটিআই এবং ভারতের দ্য স্টেটসমেন, ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।

বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর ইহসানুল করিম ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছরের ২০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তার চুক্তির মেয়াদ দুবার তিন বছর করে বাড়ানো হয়।

শেয়ার করুন