বিএনপির নেতা–কর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা পরোক্ষভাবে বন্দিত্বের কথা বলছেন, তাঁরা নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ তাঁরা নিয়মিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন, চড়া গলায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জামিনে মুক্তি পেলেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরোক্ষভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আজ এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতার ওই বক্তব্যেরও জবাব দেন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকে পড়েছেন, ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দি হয়ে আছেন।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী নেতৃত্বের দাসত্বে বন্দি হয়ে আছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় বা বিবেক জাগ্রত না হলে তাঁরা এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবেন না। বন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে ভ্রমের কারণে তাঁরা তাঁদের বন্দিত্বের দায়ভার সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন।
রোজায় কর্মসূচির সমালোচনা
পবিত্র রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রমজানের মধ্যেও তাদের কর্মসূচি জনভোগান্তি সৃষ্টি করবে।
রমজান সংযমের মাস উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ মাসেও বিএনপির নেতারা তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান রাখার কথা বলেছেন। তাঁরা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চান না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’
প্রসঙ্গত, করোনা–পূর্ববতী সময়ে আওয়ামী লীগও নিয়মিত ইফতার পার্টি করত। এরপর অর্থনৈতিক সংকটে ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে দলটি তা থেকে সরে আসে। বর্তমানে দলটি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে ইফতার ও সাহ্রির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছে। এবারও দলটি একই কর্মসূচি পালন করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। রমজান মাসে জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।