ভৈরবে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ২ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৬

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে মেঘনা নদীতে গতকাল সন্ধ্যায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।

আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। তাদের একজন কিশোরী, একজন নারী। তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মো. এনামুল হক।

ঘটনার সময়ই অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার হওয়া এক নারীর পরিচয় আজ শনিবার পাওয়া গেছে। তিনি ভৈরবের কমলপুরের সুবর্ণা (৪০)। এ তথ্য জানিয়েছেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ।

আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন ৮ জন। তারা হলেন- ভৈরবের আমলা পাড়ার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), টুটন দের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মেঘলা দে আরাধ্যা (১১) ও ঝুটন দের ভগ্নিপতি কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার বেলন দে (৩৫), ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের সোহেল রানা (৩০), স্ত্রী মৌসুমী (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭), ছেলে রাইসুল (৫) ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা ইসলাম।

আনিকা এবার নরসিংদী মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা দারু মিয়া। তবে আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার হওয়ায় আরও ৬ জন নিখোঁজ আছেন।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিয়া জানিয়েছেন, সোহেল রানার ভাগনি মারিয়া বেড়াতে চেয়েছিল। যে কারণে সোহেল রানা সপরিবারে শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাদের নৌকাকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাছে পেছন দিক থেকে বালু বোঝাই একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় মারিয়া রক্ষা পেলেও তার মামাসহ অপর তিনজন তলিয়ে যান।

এদিকে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মো. এনামুল হক জানিয়েছেন, ৫ জন ডুবুরি কাজ করছেন। নদী অনেক গভীর। নীচের দিকে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

শেয়ার করুন