দেশে অনেক কিছু ঘটছে। কিছু প্রকাশ্যে, কিছু নীরবে। প্রকাশ্যে যা ঘটে তার বেশির ভাগ খবরের কাগজে ছাপা হয়। পাঠক জানতে পারেন। নীরবে বা গোপনে যা ঘটে তা-ও এখন আর অজানা থাকে না। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন তথ্যের ছড়াছড়ি। সব তথ্য সত্য কি না, তা বোঝারও উপায় নেই। আমার মনে শুধু প্রশ্ন জাগে, কোন পরিণতির দিকে আমরা ধাবিত হচ্ছি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটামুটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণেই আছে। মনে থেকে অনেকে অনেক কিছু মেনে নিতে না পারলেও কারও যেন কিছু করার নেই।
আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো রাজনৈতিক শক্তি দেশে না থাকলেও দেশে কিন্তু অপরাজনীতির শক্তি কম নেই। বরং আমার ইদানীং মনে হয়, অপশক্তিই যেন তলে তলে বলবান হয়ে উঠছে। সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে ধাক্কা দেওয়ার। এই অপশক্তি নানা কৌশলে অপকৌশলে আওয়ামী লীগের মধ্যেও আশ্রয় পাচ্ছে। এরা সুচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনোর অপচেষ্টায় আছে হয়তো।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যা নির্বাচনী দৌড়ে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিএনপি দল থেকে বহিষ্কার করছে। এতে দলের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, না শক্তিক্ষয় হচ্ছে- সেটা বোঝার চেষ্টা বিএনপি নেতৃত্বের আছে বলে মনে হয় না। দলের নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করতে না চাইলেও এটাই সত্য যে বিএনপি এখন চরম এলোমেলো অবস্থায় আছে। দলের কোনো পর্যায়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা নেই। সন্দেহ- অবিশ্বাস কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। লন্ডনে বসে তারেক রহমান যে হুকুম দেন, দেশে তার অনুগতরা তা পালন করে।
আওয়ামী লীগের মধ্যেও সমস্যার শেষ নেই। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতা এখন আওয়ামী লীগের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। দল যাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে, তারা ভোটে অংশ নিয়ে প্রকৃতপক্ষকে কেন্দ্র নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই সাংগঠনিক সংকট মোকাবিলা করতে দল কী কৌশল নেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কিন্তু আমি আজ মনোযোগ দিতে চাই ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রতি। সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রামটির কৃষ্ণনগর এলাকায় পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বারোয়ারী কালীমন্দির। এই বিদ্যালয় আর মন্দির ঘিরেই গত ১৮ এপ্রিল ঘটে গেছে মর্মান্তিক এক ঘটনা। মন্দিরের কালী প্রতিমায় আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নির্মাণ শ্রমিক দুই ভা্ইকে। সে সময় আহত হন আরও দুজন।
অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার পর জল গড়িয়েছে বহুদূর। দুই ভাইকে পেটানোর কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। ভিডিওতে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানকে দেখা যায় ওই শ্রমিকদের প্রথম আঘাত করতে। এরপরই উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিতে শুরু করে। তাতেই মারা যান দুই ভাই আসাদুল ও আশরাফুল।
কীভাবে মন্দিরের কালী প্রতিমায় আগুন লাগল, এই অপকর্মে কারা জড়িত- এ প্রশ্ন এখন সবার। সেই সঙ্গে এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে সেখানে হাজারো গ্রামবাসী জড়ো হলেন, তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর আলোচনা। এসব প্রশ্নের উত্তর মেলানোর চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। আর শ্রমিক হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা ও পাল্টা হামলার ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পঞ্চপল্লীর পুরুষরা।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে উদ্ধৃত করে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, মধুখালী থানায় মন্দিরে আগুন, দুই নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন। তবে আগুন দেওয়া, হামলার নেপথ্যে কারা, সেসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত চলছে।
প্রশ্ন হলো- কী ঘটেছিল ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায়? একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে : কৃষ্ণনগর এলাকায় পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর বারোয়ারী কালীমন্দিরের মধ্যে ব্যবধান মাত্র একটি বটগাছের। বিদ্যালয়টিতে বেশ কিছুদিন ধরে শৌচাগার নির্মাণে কাজ করছিলেন সাত-আটজন শ্রমিক। তাদের বাড়ি অন্য গ্রামে হওয়ায় রাতেও স্কুলের একটি কক্ষেই ঘুমাতেন।
সরেজমিনে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এই মন্দিরের দেখাশোনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে মন্দিরের পাশেই থাকা প্রভাস মণ্ডলের পরিবার। যুগযুগ ধরে সেই পরিবারের নারীরাই এই মন্দিরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ দেন। বর্তমানে মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাতেন প্রভাসের স্ত্রী।
এছাড়া মাঝে মাঝে তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়েও মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাতে যেতেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায়ও গিয়েছিলেন প্রভাসের কন্যা। মন্দিরে যাওয়ার পথে শ্রমিকদের মধ্যে কেউ ওই কিশোরীকে উদ্দেশ্যে করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে কিশোরীর মা-বাবার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান অভিযুক্ত শ্রমিকরা। এর কিছুক্ষণ পর তপতী ও প্রভাস মন্দিরে গিয়ে দেখতে পান, এক শ্রমিক লাইটার দিয়ে কালী প্রতিমার শাড়িতে আগুন দিয়ে মন্দির থেকে নামছে। এ সময় তারা চিৎকার করতে করতে নিজেরাই আগুন নেভান।
স্থানীয়রা জানান, তাদের চিৎকারে আশপাশের বাড়ির ১০-১২ জন নারী-পুরুষ এসে জড়ো হন। সে সময় শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিমায় আগুন লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করছিলেন। তবে দু-একজন আবার ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলছিলেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্রমিকরা রড নিয়ে আসা নছিমন গাড়িতে করে পালানোর প্রস্তুতি নেন। কিন্তু নছিমন নষ্ট হওয়ায় তারা যেতে পারেননি।
মধুখালীর ঘটনা থেকে এই বার্তাই পাওয়া যায় যে, পরিস্থিতি তাতিয়ে তোলার অপচেষ্টা আছে। অনেক মানুষের মধ্যেই যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে, তা নিয়ে বিতর্কে না জড়িয়ে আমাদের সবার আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত, কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারে। সম্প্রীতি বিনষ্ট হলে ক্ষতি এক ধর্মের মানুষের হবে না, হবে সবারই।
এরই মধ্যে গ্রামের মানুষ এবং স্থানীয় চৌকিদার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। চৌকিদার ফোনে স্থানীয় ইউপি মেম্বার অজিত কুমার বিশ্বাসকে ঘটনা জানালে তিনিও সেখানে আসেন। মোবাইল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তখন আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে আতঙ্কে অভিযুক্ত শ্রমিকদের বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে বন্ধ করে রাখেন ইউপি সদস্য অজিত। পরে আরেক ইউপি সদস্য লিংকন বিশ্বাসও ঘটনাস্থলে হাজির হন।
উত্তেজিত জনতা এক পর্যায়ে ‘ধর ধর’ বলে ইটপাটকেল, রড, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙতে শুরু করে। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে অজিত কুমার চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে ফোন করে ডেকে আনেন। চেয়ারম্যান এসেই সোজা কক্ষের ভেতরে যান।
এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রমিকদের জেরা করার এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে মন্দিরে আগুন দেওয়ার কারণ জানতে চাইছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি মার শুরু করার পরই মূলত পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। এককথায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। উত্তেজিত জনতা মেম্বার এবং চেয়ারম্যানের কথা পাত্তা না দিয়ে শ্রমিকদের মারধর শুরু করেন। এ সময় চেয়ারম্যান শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে থানায় ফোন করেন।
খবর পেয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তাদেরও অবরুদ্ধ করে। পরে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী থেকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে আসেন। রাত ১১টার পর রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে স্থানীয় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই মারা যান নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাই।
এ ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘কোনো মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। ভিডিওতে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান আঘাত করার পরই এই গণহামলার ঘটনা ঘটে। ইউপি মেম্বার এবং চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে পারলেই ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। তাদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান চলছে।’
১৮ এপ্রিল ঘটনা শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। প্রথমে কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে কয়েকজন মোবাইলে পোড়া মূর্তির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে যায়। আশপাশের সব গ্রামের লোকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় খুব সহজেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া দিনের কাজ শেষে কয়েক গ্রামের মানুষ স্থানীয় বাজারে আড্ডা দেয়। কৃষ্ণনগর এলাকার যেসব লোকজন বাজারে উপস্থিত ছিলেন, তাদের মাধ্যমে অন্য গ্রামের লোকজনের মধ্যেও বিষয়টি জানাজানি হয়। এভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার হাজার লোক ওই মন্দিরের সামনে চলে আসেন।
এমন আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলো। পুলিশের পাহারায় থাকা গ্রামে প্রবেশ করছেন না কেউ। পঞ্চপল্লী গ্রামে নিরাপত্তার দায়িত্বে আসা পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের একজন এসআই জানিয়েছেন, ‘ওপর মহল থেকে নির্দেশ আছে যেন কোনোভাবেই কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে উত্তেজনা সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত টহল চলবে। যেন বাইরে থেকে কোনোভাবেই এখানে হামলা না হয়। এজন্য ফরিদপুর সদর থেকে মধুখালী পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে পুলিশ পাহারায় আছে।’
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘এটি পরিকল্পিত নাকি আকস্মিক ঘটনা, তা তদন্ত শেষ না হলে বলা যাবে না। এরই মধ্যে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ আসামিদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আমি বলতে চাই, তারা যেন আত্মসমর্পণ করেন। যদি তারা সেটা না করেন, তাহলে তাদের ধরিয়ে দিতে কেউ তথ্য দিলে তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। কোনো আসামি যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বিমানবন্দর, পোর্ট, বন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।’
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীক বলেছেন, ‘নির্মাণ শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা কে বা কারা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চেয়ারম্যানের শতভাগ ব্যর্থতা রয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ ওঠায় চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবার পদ ফিরে পেয়েছে।
মধুখালীর ঘটনা থেকে এই বার্তাই পাওয়া যায় যে, পরিস্থিতি তাতিয়ে তোলার অপচেষ্টা আছে। অনেক মানুষের মধ্যেই যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে, তা নিয়ে বিতর্কে না জড়িয়ে আমাদের সবারই আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত, কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারে। সম্প্রীতি বিনষ্ট হলে ক্ষতি এক ধর্মের মানুষের হবে না, হবে সবারই।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪
লেখক : রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।