মহামারি মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা স্থাপন, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপে আস্থা তৈরি এবং চুড়ান্ত পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে মহামারি মোকাবেলায় প্রস্তুতি এবং সাড়া প্রদানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মহামারি প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত সংস্কার পরিচালনার ক্ষেত্রে উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য। এটি বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার জন্য আওয়াজ তোলে, জনস্বাস্থ্যের হস্তক্ষেপে আস্থা জাগিয়ে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত জীবন বাঁচায়।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং মহামারি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার জন্য স্বাধীন প্যানেলের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্কের সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মঙ্গলবার এ বক্তব্য উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যত মহামারিজনিত জটিলতা মোকাবেলা করার সময় আরও স্থিতিস্থাপক এবং প্রস্তুত বিশ্ব গঠনে আমাদের একটি শক্তিশালী এবং সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্ব অপরিহার্য হবে।

universel cardiac hospital

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত খন্ডিত বিশ্ব স্বাস্থ্য শাসন ব্যবস্থাকে মহামারি প্রতিরোধ ও সাড়াদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্ঞান, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সক্ষমতা জোরদারে আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করেন যে, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবেলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও মতামত দেন যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের জন্য অপরিহার্য যা, আমাদের ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় একটি অগ্রাধিকার থাকে, উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তা নিশ্চিত করেন । তিনি আরো বলেন, এটি আর্থিক সংস্থানকে একত্রিত করতে সহায়তা, দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের জন্য আমাদের অভিন্নর অঙ্গীকার অর্জনের জন্য জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক জাগরণ আহ্বান, যা আন্তর্জাতিক মহামারি প্রস্তুতি ও সাড়াদানের ব্যাপক সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। তিনি উল্লেখ করেন, এই মহামারি আমাদের দেখিয়েছে যে, আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। আমরা সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই সত্যিকারের নিরাপদ হতে পারব না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-৩ এবং লক্ষ্য-১৭-এ বর্ণিত জনস্বাস্থ্য লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য এখন বিশ্বব্যাপী একসঙ্গে কাজ করার সময়।

শেয়ার করুন