ভাড়া বৃদ্ধি না করলে শনিবার থেকে লঞ্চও বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় নৌযানের ভাড়া শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে লঞ্চ মালিক সমিতি। আগামীকাল শনিবার দুপুরের মধ্যে ভাড়া সমন্বয় না করলে বিকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মালিকরা।

শুক্রবার বিকালে লঞ্চ মালিক সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে করে তাদের পক্ষে লঞ্চ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।

মাহবুব বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। স্টিলের দাম বেড়েছে ২০-২৫ শতাংশ। এসব কিছু মিলিয়ে আমরা শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করবো। এখনই লিখিত প্রস্তাব পাঠাবো।’

মাহবুব উদ্দিন আহমেদ আশা করছেন সরকার আগামীকাল দুপুরের মধ্যে তাদের প্রস্তাবনা মেনে নেবে।

এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে লঞ্চ মালিক সমিতি। পাঠানো হয়েছে। মাহবুব উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, যাত্রীবাহী লঞ্চের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থার পক্ষ হতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও আপনার দপ্তরে বহুবার আবেদন করা হলেও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আগামী ৮ নভেম্বর ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি একটি সভা আহ্বান করেন। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেন এবং ওই দিন রাত ১২টা থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে জাহাজ পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। সংগত কারণে সারাদেশে লঞ্চ মালিকরা যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য সংস্থাকে অনুরোধ করেন। অন্যথায় জাহাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন।

গত বুধবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এর প্রতিবাদে এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার থেকে যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ।

শেয়ার করুন