যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে ডিসেম্বরে হতে যাওয়া গণতন্ত্র সম্মেলন ‘সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি’র অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিক তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকার ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, হয়তো অপেক্ষাকৃত দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে ডাক দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্যা কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল হয়তো তাদের ডাক দিয়েছে। তারা দুই পর্বে করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশকে। যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল তাদেরকে। আমাদের বাদ দিয়েছে সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এটা তাদের দায়দায়িত্ব।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে দেশটিতেই প্রশ্ন উঠেছে অভিযোগ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, আমেরিকা গণতন্ত্র নিয়ে যে ঝামেলায় পড়েছে। আড়াইশ বছরের পুরোনো গণতন্ত্র, কয়েকদিন আগে দেখলেন কী অবস্থা? তারা যে গণতন্ত্র সম্মেলন করছে এটা নিয়ে খোদ আমেরিকাতেও প্রশ্ন আসছে।
আগামী ডিসেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখ দুই দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথম ধাপ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে একটি দেশের সরকারের সঙ্গে নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, মানবাধিকার ও বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়ার প্রতিনিধি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হবে সম্মেলনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ওই সেমিনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম সম্মানীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক এবং ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। সেমিনারে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের পরিচিতি তুলে ধরেন ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হারুন আল রশিদ।