ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ছায়া অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। এতে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
টিউলিপ এক টুইট বার্তায় বলেন, শ্যাডো আর্লি ইয়ার মিনিস্টার হিসেবে প্রায় ছয় বছর দায়িত্ব পালনের পর ছায়া অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আমি আনন্দিত।
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ বলেন, তিনি র্যাচেল রিভস এমপির টিমে শ্যাডো চ্যান্সেলর পদে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
টিউলিপ বলেন, লেবার পার্টির সম্মুখ সারিতে থাকার সুবিধা আমি পেয়েছি। শিশুদের জীবন গঠনে প্রাথমিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা এ শিক্ষা দিচ্ছেন তাদেরকে যথাযথ স্বীকৃতি ও সমর্থনদান করার জন্য লড়াই করা আমি কখনোই বন্ধ করবো না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ বলেন, চিলড্রেন অ্যান্ড আর্লি ইয়ার্স বিষয়ক ছায়া মন্ত্রী হিসেবে তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আরও সহায়তা, শিশুদের দেখাশোনা করা এবং বিনামূলে স্কুলে খাবারের জন্য যারা যোগ্য তাদের জন্য তিনি লড়াই করেছেন।
২০১৬ সালে লেবার পার্টির শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। সেই সময় তিনি শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন নেতত্বাধীন প্রথম ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন টিউলিপ।
রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ ব্রিটিশ লেবার পার্টি ও কো-অপারেটিভ পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। লন্ডনের হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে তিনি পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন। এ দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সি ও ছেলে রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।