মোস্তাফিজুর রহমান কেন টেস্ট খেলছেন না—দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই আলোচনার শুরু। ওয়ানডে সিরিজের পর বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ চোটে পড়ায় টেস্ট দলে পেসার সংকট তৈরি হয়। মোস্তাফিজুর রহমানের অভাবটা তখন থেকেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ততোদিনে মোস্তাফিজ আইপিএলে ব্যস্ত। তাই মোস্তাফিজের জন্য হাহাকার করেও কোনো লাভ হচ্ছিল না।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের আগে ঘুরেফিরে এল সেই মোস্তাফিজের প্রসঙ্গটি। কেন মোস্তাফিজ টেস্টে নেই—এই প্রশ্নের মুখে পড়ে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ এই বাঁহাতি পেসারের টেস্ট থেকে বিশ্রাম নিয়ে খেলার কড়া সমালোচনাই করলেন।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের খালেদ মাহমুদ বলেছেন, সাকিব-তামিমদের বয়স ৩৪-৩৫ বছর। তাদের এখন বিরতি প্রয়োজন, তারা এটার যোগ্য। কিন্তু লিটন দাস তো বিশ্রামের যোগ্য না। লিটন যদি সাকিব-তামিম হতো, বলতাম সে–ও বিশ্রামের যোগ্য। মোস্তাফিজের অবশ্যই টেস্ট খেলা উচিত। এখন তার পিক টাইম। আমরা তো বলছি না সব টেস্ট খেলো। আমি চাই বছরে ৬-৮টা টেস্ট ম্যাচ তার খেলা উচিত।
মোস্তাফিজ অবশ্য বিসিবির টেস্টের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। জৈব সুরক্ষাবলয়ের ক্লান্তিকে টেস্টে না থাকার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। এর আগে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান ক্রিকেটারদের নিজের ইচ্ছেমতো বিশ্রাম নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আজ অবশ্য খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, নিজের পছন্দমতো খেলার স্বাধীনতা ছিল শুধু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের।
খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘পাপন ভাই বলেছিলেন, খেলোয়াড়েরা কে কোন সংস্করণে খেলতে চায়, এ নিয়ে আলাপ করতে পারে। কথাটা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে বলেছেন, সবার ক্ষেত্রে না। এখন যদি জয় (মাহমুদুল হাসান) বলে আমি ওয়ানডে খেলব আর টেস্ট খেলব না, এটা কি ঠিক হলো নাকি? মোস্তাফিজের আসলে বয়স কত? কয় দিন ধরে খেলে?’
তিনি বলেন, ও তো সাকিব না, তামিম না, মাশরাফি বা মুশফিক না, যারা এত বছর ধরে বাংলাদেশকে তিন ফরম্যাটে সার্ভিস দিয়েছে। দেশের জন্য খেলা জরুরি।