কোনো সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়ানোর যে চর্চা, তা থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুই-চারজন খারাপ থাকলে তাদের শোধরাতে হবে। তারা সুযোগ পেলে যা করে তা কিন্তু কেউই বরদাস্ত করবে না। জনগণ রাস্তায় নেমে এলে কিন্তু বিপদে পড়বেন।
আজ বৃহস্পতিবার ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সুযোগ পাইলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়া, এটা কেউই বরদাস্ত করবে না। দেশের সব ব্যবসায়ীই বড়লোক। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ঢাকায় আট-দশটা বাড়ি আছে। তারপরও সবাই বলে নাই নাই।
মিল মালিকদের উদ্দেশ করে জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ১০ বছরে অনেক পরিবর্তন হইছে। এখন আর আগের বাংলাদেশ নাই, সবকিছুই ডিজিটাল। মানুষকে বোকা বানানো যাবে না এখন। মিল মালিকরা ডিলার লিস্ট এফবিসিসিআইয়ে কেন দিচ্ছে না? আপনাদের ডিলার লিস্ট চাইলেই বলেন লিস্ট নাই।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে। মিল মালিকদের সঙ্গে আমাদেরও ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে। এখানে কেউই ছোট না। সবাই বড় ব্যবসায়ী। যার যার জায়গা থেকে আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। দুই-চারজন খারাপ থাকলে তাদের শোধরাতে হবে। তারা সুযোগ পেলে যা করে তা কিন্তু কেউই বরদাস্ত করবে না। জনগণ রাস্তায় নেমে এলে কিন্তু বিপদে পড়বেন।
‘ব্যবসায়ীরা ভরা মৌসুমে চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে, এটা কি ফাউ কথা? এই মৌসুমে কি চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বাড়ানো উচিত হয়েছে?’ ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
চাল ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধের কথা উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, আপনার পোলাও চাল বিক্রির জন্য প্রতি মিনিটে ১০ হাজার ২০ হাজার টাকার বিজ্ঞাপন দেন। এসব করে চালের দাম বাড়ান। বিজ্ঞাপন না দিয়ে চালের দাম কমান। তাহলে বিক্রি বেশি হবে। শুধু বিজ্ঞাপনের পেছনে দৌড়াবেন না৷
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে দামি মেশিন আনা হয়েছে দাম কমিয়ে বিক্রির জন্য। অথচ আপনারা তা না করে উলটো আরো দাম বেশি নিচ্ছেন। তা কেন হবে?।
সামনে কোরবানি আসছে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ কেউ কোরবানির সময় দাম বাড়াবেন না। এই সময় কিন্তু পাবলিকের এমনি অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকে না। সবাই সাবধান থাকবেন। পাবলিক কিন্তু রেগে গেলে কেউ নিস্তার পাবেন না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে আমার।