প্রধানমন্ত্রী আরও ২৬ হাজার ঘর দিচ্ছেন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ২৬ হাজার ২২৯ পরিবারকে ঘর উপহার দিচ্ছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হয়ে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন হস্তান্তরের মাধ্যমে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা—একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দকৃত একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তরিত হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি। আজ হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হবেন ৫টি প্রকল্প এলাকার সঙ্গে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে—লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার জঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত হতে ভার্চুয়ালি পঞ্চগড় জেলায় পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ৩নং পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং পঞ্চগড় জেলাকে প্রথম ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে ঘোষণা করতে যাচ্ছি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলায় আর কোনও ভূমিহীন গৃহহীন নেই। এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল অর্জন। গত মাসে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে আমাদের মনোবল আকাশচুম্বী হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে মানবতার ছোঁয়া পৌঁছে যাচ্ছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি। ওই অর্থবছর পর্যন্ত একক ঘরের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন