রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিকে আজ শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তার প্রবেশ ঠেকাতে রেলস্টেশনের বাইরের কলাপসিবল ফটক আটকে রাখা হয়৷ তাই মহিউদ্দিন রনি ওই ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে তাকে ‘দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা’ থেকে বিরত করতে রেলস্টেশনে আসা সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে ‘দালাল’ বলে ধাওয়া দেন সাধারণ মানুষ।
৬ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সামনে অবস্থান নেন মহিউদ্দিন ও তার সহযোগী একদল শিক্ষার্থী। সেখানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হামলা ও হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে রাতে তারা শাহবাগে যান।
‘ছয় দফাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে’ আজ বিকেলে ফের কমলাপুরে অবস্থান কর্মসূচি করতে যান মহিউদ্দিন৷
মহিউদ্দিনের আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই রেলস্টেশনের সামনের কলাপসিবল ফটক (মূল ফটক) আটকে দেন রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। মহিউদ্দিন ওই ফটকের সামনেই বসে পড়েন।
এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগ দেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে মহিউদ্দিন যখন কথা বলছিলেন, তখন সেখানে হাজির হন এম এ সূর্য নামের এক ব্যক্তি৷
ওই ব্যক্তি মহিউদ্দিনকে তার আন্দোলনের বিষয়টি ‘পরিষ্কার’ করতে বলে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন৷ একপর্যায়ে মহিউদ্দিন বলেন, আপনার ইনটেনশন কী? আপনি কাদের লোক?
মহিউদ্দিন ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নাম এম এ সূর্য। তিনি একজন সাধারণ পাবলিক। মহিউদ্দিনের সহযোগীরা তখন ওই ব্যক্তিকে ‘দালাল’ আখ্যায়িত করে ক্ষোভ ঝাড়তে থাকেন। তখন পুলিশ সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেন।
এ সময় মহিউদ্দিন ফটকের সামনে থেকে রাস্তার পাশে এসে সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের ইস্যুটাকে ধামাচাপা দিতে নতুন ইস্যু তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।