জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ কয়েকটি ঝুঁকি চিহ্নিত করে সামরিক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে জাপান। আজ শুক্রবার প্রকাশিত শ্বেতপত্রে জাপান তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হিসেবে চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে চিহ্নিত করেছে। জাপানের এই শ্বেতপত্রের কড়া সমালোচনা ব্যক্ত করেছে চীন ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন ও তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সাম্প্রতিক কার্যক্রম জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। রাজধানী টোকিওতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে সৈন্য পাঠিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামরিক সক্ষমতার সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সামরিক বাজেটও। এ ছাড়া দেশটির সরকার নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জনগণের সমর্থনলাভের চেষ্টাও করছে।
ওই শ্বেতপত্র থেকে জানা গেছে, জাপান আগামী দশকের মধ্যে সামরিক ব্যয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনাও করেছে। জাপানের শ্বেতপত্রে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব বিনষ্টে চীনের ভূমিকাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক অগ্রগতি ও কর্মকাণ্ডকে চিহ্নিত করায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শ্বেতপত্রটিকে চীনা সামরিক নীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈধ সামুদ্রিক কার্যক্রমের জন্য ক্ষত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জাপানের এই রিপোর্ট অতিরঞ্জিত এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো ছাড়া আর কিছুই নয়।’