নতুনভাবে বাসভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ রোববার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, গেল নভেম্বরে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর সময়ে বাসভাড়া ৩৫ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে। এর ৯ মাসের মাথায় আবারও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ ছাড়া একলাফে বাসভাড়া আবারও ২২ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়। প্রতিটি পুরোনো লক্কর-ঝক্কর বাস শো রুম থেকে নামানো নতুন বাসের দাম, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য নতুন বাসের সুযোগ-সুবিধার হিসাব ধরে ব্যয় বিশ্লেষণ করা হলেও সিটি সার্ভিসে ৯৮ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচলের অযোগ্য।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, আন্তজেলা দূরপাল্লার ৪৮ শতাংশ বাস ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এসব বাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পুরোনো এসব বাসের যাত্রীসেবার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি আরও বলছে, গতকালের বাসভাড়া বৃদ্ধির সভায় এসব বাসকে চকচকে নতুন বাস হিসেবে ব্যয় বিশ্লেষণ করায় যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমিতি নতুন বাস এবং পুরোনো বাস আলাদা আলাদা ব্যয় বিশ্লেষণ ও আলাদা আলাদা ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার বাসমালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করলেও কোনো বাসে সরকারনির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার বেশ কয়েক গুণ বর্ধিত ভাড়া বাসে বাসে আদায় হলেও সরকার কার্যত এসব বাসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। সিটি সার্ভিসে সরকার কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করলেও বাসে বাসে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুণে গুণে ভাড়া আদায় করা হয়। ঢাকা মহানগরীর কথিত সিটিং সার্ভিসে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করলেও সর্বশেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।