চীনের সাম্প্রতিক ‘ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া’ সত্ত্বেও আরও একজন মার্কিন সিনেটের তাইওয়ান সফর করছেন। সিনেটের ‘কমার্স অ্যান্ড আর্মড সার্ভিসেস কমিটির’ এই আইনপ্রণেতা গতকাল বৃহস্পতিবার তাইওয়ান পৌঁছান। এ নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয় দফা কোনো উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তা দ্বীপটি সফরে এলেন। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে চড়ে তাইপে পৌঁছান সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। সংশান বিমানবন্দরে তাকে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডগলাস স্বাগত জানান বলে ব্ল্যাকবার্নের দপ্তর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে এই মার্কিন সিনেটর বলেন, ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাইওয়ান আমাদের শক্তিশালী অংশীদার। উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাইপে সফর যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি নীতির অংশ। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির তর্জন-গর্জনে আমি দ্বীপটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে আজ শুক্রবার সকালে সাক্ষাৎ করেন ব্ল্যাকবার্ন। শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওয়েলিংটন কু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উর সঙ্গেও তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। কাল শনিবার এই মার্কিন কর্মকর্তা তাইপে ছাড়বেন।
ব্ল্যাকবার্নের এই সফরের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংয়ু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উসকানির জবাবে ‘দৃঢ় পাল্টা ব্যবস্থা’ নেবে চীন। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
এক বিবৃতিতে লিউ বলেন, এই সফর আবারও প্রমাণ করেছে তাইওয়ান প্রণালিতে স্থিতিশীলতা চায় না যুক্তরাষ্ট্র। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত উসকে দিতে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে তারা কোনো চেষ্টাই বাকি রাখছে না।