টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলেরই ছিল বাঁচামরার লড়াই। সেই লড়াইয়ে হারলো আফগানিস্তান। তাদের বিদায় করে আশা বাঁচিয়ে রাখলো শ্রীলঙ্কা।
ব্রিসবেনে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে হারিয়েছে লঙ্কানরা। এই জয়ের পর ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তিন নম্বরে উঠে এসেছে দাসুন শানাকার দল।
‘এ’ গ্রুপে সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে এক আর দুই নম্বর অবস্থানে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তানের এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তারা অর্জন করতে পেরেছে মাত্র ২ পয়েন্ট। তাই আর কোনো সম্ভাবনা নেই আফগানদের।
লঙ্কানদের আজ জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৪৫ রানের। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মোটে ৬৩ রান তুলতে পারে তারা। ফলে শেষ ১০ ওভারে দরকার পড়ে ৮২ রান। খুব সহজ ছিল না।
তবে উইকেট হাতে থাকায় এরপর আফগানদের ওপর চড়াও হয় লঙ্কানরা। ৫১ বলেই প্রয়োজনীয় ৮২ তুলে নেয় ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ফিফটিতে ভর করে।
হাফসেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ৪২ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া দলের জয়ে অবদান ছিল কুশল মেন্ডিস (২৭ বলে ২৫), চারিথ আসালাঙ্কা (১৮ বলে ১৯), ভানুকা রাজাপাকসেরও (১৪ বলে ১৮)।
আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান আর রশিদ খান নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে আফগান টপঅর্ডারের সবাই রান পেলেন। কিন্তু কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাই আফগানিস্তানের বোর্ডেও বড় রান জমা পড়লো না। ৮ উইকেটে ১৪৪ রানেই থামলো মোহাম্মদ নবির দল।
ব্রিসবেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান দলপতি নবি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৪২ রান তুলেছিল আফগানিস্তান।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে লাহিরু কুমারার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ (২৪ বলে ২৮)। এরপর লঙ্কান বোলাররা বেশ চেপে ধরেন আফগানদের। রানের গতি কমে যায়। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তোলে ৬৮।
পরের ওভারে উসমান গনিকে (২৭ বলে ২৭) আউট করেন হাসারাঙ্গা। রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। ১৮ বলে ২২ করা এই ব্যাটারকে থামান লাহিরু কুমারা।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট খুইয়েছে আফগানরা। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৬ বলে ১৮, গুলবাদিন নাইব ১৪ বলে ১২, মোহাম্মদ নবি ৮ বলে ১৩, রশিদ খান ৮ বলে ৯ করে সাজঘরে ফেরেন। ১৪৪ রানে থামে আফগানিস্তান।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন এই লেগস্পিনার। পেসার লাহিরু কুমারার শিকার দুটি।