সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ধ্বংস করা হয় চীনা ‘নজরদারি’ বেলুন। প্রায় ২০০ ফুট (৬০ মিটার) লম্বা বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল বলে সন্দেহ ওয়াশিংটনের। তবে বেইজিংয়ের দাবি, বেলুনটি তারা বেসামরিক কাজে ব্যবহার করছিল। দুর্ঘটনাক্রমে বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। এখন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বেলুনটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। এটি পাঁচটি মহাদেশজুড়ে ৪০টির বেশি দেশের ওপর দিয়ে উড়েছিল। খবর সিএনএনের।
মার্কিন ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমরা জানি, চীনের পাঠানো নজরদারি বেলুন পাঁচ মহাদেশের ৪০টি বেশি দেশের ওপর দিয়ে উড়ে এসেছে। বাইডেন প্রশাসন সরাসরি ওই দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এই বিষয় নিয়ে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বেলুনটি ‘গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম’ এবং এটি একটি নৌবহরের অংশ। আর বেলুনটি ‘বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশ ও ৫টি মহাদেশের’ ওপর দিয়ে উড়েছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, প্রতিটি দেশের প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে চীন।
রহস্যজনক বেলুনের দেখা মিলতেই আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপরে নজরদারির জন্যই নজরদারি বেলুন পাঠিয়েছে চীন। চীনের দাবি, কোনো নজরদারি নয় বরং আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ওড়ানো হয়েছিল ওই বিশালাকার বেলুন। হাওয়ার ধাক্কায় পথ হারিয়ে মার্কিন আকাশসীমায় চলে যায়।