সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মইনুল হোসেনকে রংপুরের আদালতে নেয়ার সময় ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে দেড় শ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আদালত চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এছাড়া নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিস বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির দশ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি ৭১ টেলিভিশনের টকশো একাত্তর জার্নালে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলেন মইনুল হোসেন। এমন মন্তব্যের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পরে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে মইনুল হোসেন তার ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। ২১ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মানহানির ও নালিশি মামলা হয়।
গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় রংপুরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। পরে সেদিনই রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার মইনুল হোসেনকে ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়।