বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রেসক্লাবের উন্নয়ন হলে প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে যখন যারাই আসুক না কেন, এর সদস্য যারা আছেন তারা সকলেই উপকৃত হবেন এবং সেইসাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীও উপকৃত হবে। কেননা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পরিবেশ যদি সুন্দর থাকে তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিভিন্ন দাবির পক্ষে প্রেসক্লাব ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সংস্কারকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোনো স্থায়ী জায়গা ছিল না; আমি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলাম তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তৎকালীন জেলাপ্রশাসক লুৎফর রহমান সাহেবকে বলেছিলাম রেডক্রিসেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসক্লাবের জন্য একটি স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করতে এবং তিনি সেটি করেছিলেন। এই প্রেসক্লাবের উন্নয়নে আমি অতীতে যেমন পাশে ছিলাম, ঠিক তেমনিভাবে ভবিষ্যতেও পাশে থাকব।
বিএনপির অবস্থা, সব মানি তালগাছ আমার: আইনমন্ত্রী
বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপির জন্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল বলে মন্তব্য করে সুধী সমাবেশের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপনারা ১৯৯৬ সালে নির্বাচন দেখেছেন, ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখেছেন, এ অপকর্মের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্ম। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে মামলা হলো, হাইকোর্ট বললো এটা সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কোনো দিনই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে নাই। সেহেতু এটা অবৈধ এবং এটা বাতিল করে দেওয়া হলো। সেই বাতিলটা আইনসঙ্গত করতে সংবিধান সংসদের মাধ্যমে সংশোধন করা হলো।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি আবারও সেই দাবি তুলেছেন। তাদের এ দাবির মানে হচ্ছে, আমরা নির্বাচন করবো, কিন্তু আমাদের জিততে হবে। তাদের অবস্থা সব মানি তালগাছ আমার।
আনিসুল হক বলেন, যৌক্তিক কোনো দাবির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনারও কোনো সমস্যা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে চলমান সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, এটা আপনারা জানেন। আমি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য রবিউল ভাই (র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী) আইনজীবী ও জজদের সঙ্গে বসেছিলাম। বসে এটা সমাধান করে দিয়েছি। আমার মনে হয় তারা (আইনজীবীরা) আগামীকাল একটা মিটিং করে অথবা পরশু দিন থেকে আদালতের কাজ শুরু করবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন ও পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
এর আগে অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে প্রেস ক্লাবের সংস্কারকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করেন।