দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এসেছিল মুশফিকের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালের গল টেস্টে অভিজাত ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান ক্লাবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন মুশফিক। এবারের ক্রিকেটের ‘ডাবলের ডাবল’ অর্থাৎ দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যানও হয়ে গেলেন ৩১ বছর বয়সী এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
প্রথমদিন সেঞ্চুরি করার আগে ও পরে মুশফিকের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ও রান করার তাড়না থেকে বোঝা যাচ্ছিল বড় কিছুর জন্যই নেমেছেন তিনি। দ্বিতীয় দিন সকালেও একই টেম্পারমেন্ট ও ধৈর্য্য নিয়ে ব্যাট করে তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি।
চতুর্থ উইকেটে তার সাথে ২৬৬ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে মুমিনুল আউট হয়েছিলেন ১৬১ রান করে। পুড়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে। তবে মুমিনুল মিস করলেও, কোনোরকমের সুযোগ না দিয়ে সাড়ে নয় ঘণ্টা সময় ধরে ব্যাটিং করে ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন মুশফিক।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১৫৪তম ওভারের পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজার করা মিডল স্টাম্পের ডেলিভারিটি আলতো করে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়েই নিজের দুইশতম রানটি নেন মুশফিক। ডাবল সেঞ্চুরি করেই দুই হাত দিয়ে ভালোবাসা চিহ্ন একে নিজের এই সেঞ্চুরিটি যেন প্রিয়তমা স্ত্রীকেই উৎসর্গ করেন তিনি।
৪০৭ বলে ১৬ চার এবং ১ ছক্কার মারে করা মুশফিকের এই ডাবল সেঞ্চুরিটি দেশের মাটিতে দ্বিতীয়। এর আগে ২০১৩ সালে মুশফিকুর রহিম শ্রীলংকার মাটিতে ২০০ এবং ২০১৭ সাকিব আল হাসান নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২১৭ রানের ইনিংস খেলার ফাঁকে ২০১৫ সালে দেশের খুলনায় ২০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি করার ওভারেই লং অন দিয়ে দারুণ এক ছক্কার মারে নিজের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি করেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। মুশফিক ২১৯ রানে অপরাজিত এবং মিরাজ ৬৮ রানে। এদিকে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটে ১৮ করেছে।