‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ সাধুবাদ জানায় সংগঠনটি।
এফবিসিসিআই মনে করছে, আগামীতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ, বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হওয়াসহ অনেক চ্যালেঞ্চ রয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে লংটার্ম (দীর্ঘমেয়াদি) ভিশন আছে। আমরা আগামীতে কোথায় যাবো বা কোথায় যেতে চাই, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনসহ সব এসেছে। পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ এবং নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই ক্যাটাগরিতেই করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে, এটা আরও বাড়ানো দরকার ছিল।
তিনি বলেন, বাজেটে ২৩৪টি পণ্য থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবার ১৯১টি পণ্যে রেগুলেটরি ট্যাক্স বসানো হয়েছে। এতে লোকাল কারখানার জন্য খুব বেশি সহায়ক হবে না। এটা ঠিক হয়নি। এতে আদমানি বেড়ে যেতে পারে। তবে, অভ্যন্তরীণ বাজেট থেকে ভ্যাট কালেকশনের কথা বলা হয়েছে।
এ বাজেট ব্যবসাবান্ধব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি করনেট বাড়ানোর বিষয়ে। কর আদায়ে ইজি পদ্ধতি থেকে সরে আসতে হবে। আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু জানাবো না। আমাদের সেল এ নিয়ে কাজ করছে। শনিবার (৩ জুন) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।