বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষই গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের পক্ষপাতী। সে হিসেবেই বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি ও জীবনাচরণ গড়ে উঠেছে। আইন প্রণীত হয়েছে, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র এই সেদিন পর্যন্ত ছিল মুক্তবিশ্ব নামে পরিচিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অভিভাবক।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বত্র তখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রবক্তা ও প্রচারক হিসেবে কাজ করেছে। এককথায় বলতে গেলে বৃহত্তরভাবে গণতান্ত্রিক নীতি-আদর্শ ও মূল্যবোধের ফেরি করে বেড়িয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন, গণচীন, কিউবা ও কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর ছিল আপসহীন দ্বন্দ্ব-সংঘাত কিংবা লড়াই। পঞ্চাশের দশকের স্নায়ুযুদ্ধ অর্থাৎ কোরীয় যুদ্ধের অবসান এবং পরে ও নব্বইয়ের দশকে এসে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র ও তার বশংবদরা ভেবেছিল—এত দিনে বিশ্বে ক্ষমতার একটি একক ভরকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব কোনোভাবেই আর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বেই চলবে একক বিশ্বব্যবস্থা। কিন্তু বিশ্ববাসী সে এককেন্দ্রিক ক্ষমতার প্রভাববলয়কে মেনে নিতে রাজি হয়নি। তখন গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মানবসভ্যতাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ক্ষমতার বহুমুখীকরণ কিংবা ক্ষমতার ভিন্ন ভিন্ন প্রভাববলয় সৃষ্টির জন্য তৎপর হয়ে ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা বশংবদদের একাধিপত্যমূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তখন সৃষ্টি হয়েছিল চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রে এক বিশাল মতপার্থক্য ও দ্বন্দ্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা সামরিক জোট এবং এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অর্থনৈতিক বাজার ধরে রাখা ও সামরিক শক্তিকে আরো জোরদার করার প্রয়াসে নতুন কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করতে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তার সামরিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি আরো জোরদার করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এককেন্দ্রিক ক্ষমতার প্রভাববলয় কিংবা আধিপত্যকে ধরে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এখন তার অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সামরিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছে। তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী কৌশল হিসেবে গণতন্ত্র কিংবা মানবাধিকারের আদর্শের প্রচারকাজ একরকম বন্ধই করে দেয়।
বরং বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে বা উত্খাত করে তাদের অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পা-চাটা সরকার বসাতে শুরু করেছে। সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের পরিমণ্ডলে গণতন্ত্রের কোনো সচ্ছল স্থান হতে পারে না। সাম্রাজ্যবাদীদের ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্ববাদ আছে, কিন্তু নেই কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য কাঙ্ক্ষিত মানবাধিকার। নেই আইনের শাসন। সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য একসময় এই জনপ্রিয় শব্দগুলো তারা ব্যবহার করেছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থাৎ একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা কিংবা এককেন্দ্রিক ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেই শব্দগুলো তাদের কাছে এখন ক্রমেই কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বয়োজ্যেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনীতিতে একজন প্রাজ্ঞ-প্রবীণ রাজনীতিক। কিন্তু বৈশ্বিক ক্ষমতার রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরাশক্তিগত আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে তিনি এখন ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন একজন প্রকৃত কর্তৃত্ববাদী এবং বৃহত্তর অর্থে আগ্রাসী নীতির অধিকারী। ক্ষমতার একাধিপত্যের স্বার্থে তিনি একজন প্রকৃত সাম্রাজ্যবাদীর স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তাই ইউক্রেনে যুদ্ধ বাধাতে উসকানি দিয়েছেন। বিশ্বের সর্বত্র রাশিয়া এবং বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে তিনি সব পর্যায়েই খড়্গহস্ত হচ্ছেন। বিশ্বশান্তি কিংবা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি তাঁর কাছে এখন অপ্রাসঙ্গিক। এমন একটি মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি এখন তাঁর প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় টার্মের জন্য আগামী বছর নভেম্বরে আবার লড়তে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক শ্রেণির নীতিবান ভোটার সেটি চান আর না চান, তাতে তাঁর তেমন কিছু আসে যায় না। কারণ তাঁর সামনে রয়েছে বিশাল এক রাজনৈতিক এজেন্ডা। আর সেটি হচ্ছে পরাশক্তিগতভাবে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিপত্য ধরে রাখা। ক্ষমতার এককেন্দ্রিক ভরকেন্দ্র বহাল রাখা।
এর পাশাপাশি আসন্ন সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের মহাশক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসে মাঠে নেমেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়েছেন, তার কোনো নজির খুঁজে পাওয়া যায় না। তবু ট্রাম্প তাঁর রিপাবলিকান দলীয় অন্য প্রার্থীদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি জনপ্রিয়। এবং এমনকি বর্তমান ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায়ও রাজনীতিসচেতন জনগণ ও গণমাধ্যমের কাছে ধিকৃত ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। অথচ ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবেন কি না সেটি নিয়ে রয়েছে চরম আশঙ্কা। কারণ ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে অবৈধভাবে অর্থাৎ চরম অগণতান্ত্রিকভাবে পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলায় ৯১টি আইনি অভিযোগ আনা হয়েছে, যা খণ্ডানো তাঁর পক্ষে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও আইনি সহায়তার আশ্রয় নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কিংবা মামলাগুলোর শুনানি নির্বাচনের পরবর্তী সময় পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখতে, কিন্তু তিনি তাতে সক্ষম হননি। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী বছরের ৪ মার্চ। অথচ এর এক দিন পর অর্থাৎ ৫ মার্চ রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীদের প্রাইমারি উপলক্ষে নির্ধারিত সভার দিন ধার্য করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, মামলার শুনানি চলাকালে কিভাবে দলীয় প্রার্থী বাছাই কিংবা বিভিন্ন নির্বাচনী দলীয় সভায় যোগ দেবেন ট্রাম্প? এ ব্যাপারে তাঁর নিজ দলীয় অন্য প্রার্থীরাও সন্দিহান। দলীয় প্রার্থী নির্বাচন, দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিতর্ক সভা কিংবা শেষের দিকে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর কিংবা বিতর্ক সভায় কিভাবে যোগ দেবেন তিনি? মামলার শুনানির জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন তারিখের সঙ্গে উল্লিখিত কার্যক্রম সাংঘর্ষিক হয়ে যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। তবু ট্রাম্প তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেনই, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের নভেম্বরে।
মার্কিন উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতি কিংবা ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে’ বিশ্বাসী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে শহর-নগর কেন্দ্রিক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নিচু তলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ট্রাম্প এখনো একই রকম জনপ্রিয়। এমনকি ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী বিবেক রামস্বামীর মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একবিংশ শতাব্দীর একজন সফল ও শ্রেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীদের কয়েকজন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার পক্ষপাতী। নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় অন্যান্য প্রভাবশালী প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিভান্টিস, জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি ও নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টিসহ আরো কয়েকজন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কোনোভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন এবং শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়ে যান, তাহলে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও তাঁকে কারাগারে যেতে হবে না। বাকিটা তাঁর কার্যকালের পরে দেখা যাবে। কিন্তু তেমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করে। তবে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যথা শিগগির রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের অবসান হতো বলে অনেকের ধারণা। তা ছাড়া জো বাইডেন দ্বিতীয় টার্মের জন্য আবার নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের পরাশক্তিগত সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে বলে কেউ কেউ মনে করে। তাঁর শাসনকালে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেও গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ট্রাম্প ছাড়া বিপাবলিকান দলের অন্য প্রার্থীদের পক্ষে জো বাইডেনকে পরাজিত করা সহজ হবে না বলে অনেকের বিশ্বাস।
নির্বাচন পরিস্থিতি ও বিশ্বের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গণমাধ্যমের অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভবিষ্যতে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, পরাশক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষমতার বহুমুখীকরণ ঠেকানো এবং ডলারের বর্তমান একাধিপত্য ধরে রাখার সম্ভাবনা খুবই কম। তা ছাড়া ইউরোপের (জার্মানি ও ফ্রান্স) তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের বহির্বাণিজ্যের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকেও সংগতভাবেই অনেকে দায়ী করেন। সে হিসেবে চীনের ভারী শিল্পের ক্ষেত্রেও রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের মতো বড় অর্থনীতির জন্য সমস্যাসংকুল হয়ে উঠেছে। এতে রাশিয়া হয়তো সর্বস্বান্ত হয়নি, তবে আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে না ইউক্রেনও। অপরদিকে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এখনো সহনশীল পর্যায়ে নেমে আসছে না। তা ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতি থেকে মন্দার কালো ছায়া কখন নিশ্চিহ্ন হবে, তা কেউ বলতে পারে না। এ অবস্থার জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উন্নয়নশীল বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান কর্তৃত্ববাদী প্রশাসনকে বহুলাংশেই দায়ী করছে। এতে বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব দিন দিন কমছে বৈ বাড়ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী কার্যক্রম এখন আগের মতো আর ফল বয়ে আনছে না। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, কংগ্রেসের আইন প্রণেতা কিংবা উৎপাদন ও বাণিজ্যের চালিকাশক্তিগুলো এই বিষয়টি বুঝতে পারলেও তেমন কোনো যুগোপযোগী ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
gaziulhkhan@gmail.com