দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ২০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ৪ জন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার। একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত ১৯ জন সংসদ সদস্য ছিলেন সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার। এবার ক্ষুদ্র জাতিসত্তার চারজনই মনোনয়ন পেলেন। আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে একজনের সংখ্যা এবার বেড়েছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ মনোনয়নের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এবার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন রমেশ চন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), মনোরঞ্জন শীল গোপাল (দিনাজপুর-১), তুষার কান্তি মন্ডল (রংপুর-৩), সৌমিত্র পান্ডে (কুড়িগ্রাম-৩), সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), সৌরেন্দনাথ চক্রবর্তী (নওগাঁ-৩), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), বীরেন শিকদার (মাগুরা-২), ননি গোপাল মন্ডল (খুলনা-১), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), কানাই লাল বিশ্বাস (পিরোজপুর-২), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সিগঞ্জ-৩), রনজিত চন্দ্র সরকার (সুনামগঞ্জ-১) এবং প্রাণ গোপাল দত্ত (কুমিল্লা-৭)। এসব প্রার্থীর মধ্যে নতুন মুখ ছয়জন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ মনোনয়নের বিষয়ে বলেছেন, আমরা সব সময় চেয়েছি, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে মনোনয়ন দেওয়া হোক। আওয়ামী লীগ এবার গত বছরের চেয়ে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার একজন প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়িয়েছে। এটাকে সাধুবাদ জানাই।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা চাই, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কথা সংসদে বলুক। তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুক। কিন্তু এর পাশাপাশি তাদের জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে তারা ভূমিকা রাখুক।
এবার ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতিনিধিদের মধ্যে জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), খাগড়াছড়ি থেকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটি থেকে দীপংকর তালুকদার এবং বান্দরবান থেকে বীর বাহাদুর উশৈ সিং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা গত সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বীর বাহাদুর উশৈ সিং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও।
ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এ মনোনয়নের বিষয়ে আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, গতবারের চেয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মনোনয়নপ্রাপ্তদের সংখ্যা কমেনি। এটা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এসব ব্যক্তি যাতে সবার সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে আসেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা দরকার হবে।
সঞ্জীব দ্রং বলেন, আমরা চাই সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যেমন সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবেন।