নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়বে বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে গিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে দক্ষতাগুলো ছাড়া কোনো কাজ করাই সম্ভব না, অর্থাৎ প্রেজেন্টেশন করার সক্ষমতা, দলগতভাবে কাজ করার সক্ষমতা, পুঁথিগত বিদ্যা বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে সার্বজনীন দক্ষতা নিতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের নতুন কারিকুলাম।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়েরা গতকাল ভারতের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফুটবলে। এটি আমাদের অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। মাত্র দুদিন আগে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যাতে করে মাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা ফুটবল খেলার সুযোগ পায়, ক্রিকেট খেলায় সুযোগ পায়। এজন্য আমরা সারাদেশে প্রতিযোগিতা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটু এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এরই মধ্যে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেয়রের কাছে অনুরোধ রাখবো, চট্টগ্রামের সব খেলার মাঠ যেন শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। মাঠে মেলার প্রয়োজন নাই, আমাদের খেলার প্রয়োজন। একটা নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের খেলার জন্য ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ দেশের ৫০ শতাংশ নারী। তাদেরও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও এগিয়ে যাবে। তাহলে হবে একটি সুষম উন্নয়ন।
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের ৮২টি স্কুলে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া, বিতর্ক ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যাক। এজন্য চসিকের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় এ আয়োজন। আমরা চাই চট্টগ্রামের কোনো শিশু শিক্ষা বঞ্চিত না থাকুক।
এ সময় চসিকের স্কুলগুলোকে এমপিওভুক্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের স্কুলগুলো এমপিওভুক্ত হলে আরও স্বল্প বেতনে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, চসিকের শিক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং চসিকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।