উত্তর কোরিয়ার কৃষি উৎপাদন বরাবরই দুর্বল। ফলে নির্ভর করতে হয় আমদানিকৃত খাদ্য ও বৈদেশিক সহায়তার ওপর। কিন্তু বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রায়ই দেখা দেয় দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি।
না খেয়ে মারা যায় লাখ লাখ মানুষ। চলতি বছরও ফের বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে সমাজতান্ত্রিক দেশটি।
কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কারণেই এ খাদ্য ঘাটতি বলে স্বীকার করেছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর বরাত দিয়ে গতকাল এ খবর দিয়েছে এএফপি।
খবরে বলা হয়, সঠিকভাবে জমি ব্যবস্থাপনা, বীজ ও সার উৎপাদন এবং সেগুলো সঠিক ও সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। চলতি সপ্তাহে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্যাক পং জু সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, বেশ কিছু সরকারি কৃষি খামার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি জানান, তারা বীজ উৎপাদন, বণ্টন ও সঠিক ব্যবস্থানায় ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে ফসল উৎপাদনের সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা অর্জিত হয়নি। খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করে উত্তর কোরিয়া।
২০১৫ সালের পরিকল্পনাটি আগামী ২০২০ সালে শেষ হবে। কিন্তু এ পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কিম জং উন।
এরপর থেকে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের উচ্চাশা ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে পড়ে ছিলেন তিনি।