ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৮৩১ প্রার্থী।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে লড়তে চান ২৩৭ জন ও হল সংসদে ১৮টি হলে ৫৯৪ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে ২৩৭টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। আর ১৮টি হলের ১৩টি করে পদের বিপরীতে সর্বমোট ৫৯৪টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনের ১০টি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, বামজোট, জাসদ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী জোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, স্বতন্ত্র জোট, স্বাধীকার আন্দোলন।
এ ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে অনেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তারাও মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, আমাদের প্যানেলে প্রার্থী হিসেবে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, তারা সবাই যথাসময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে তারিখ সামনে রেখে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় মনোনয়ন বিতরণ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আগামীকাল দুপুর ১২টায় হলের নোটিশ বোর্ড এবং ডাকসুর ওয়েবসাইটে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কোনো প্রার্থীর আপত্তি থাকলে ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে হল সংসদ সভাপতির কাছে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
২ মার্চ দুপুর ১টা পর্যন্ত লিখিত ও স্বাক্ষরকৃত আবেদনসহ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে যেকোনো প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন।
৩ মার্চ বিকেল চারটায় প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা হলের নোটিশ বোর্ড এবং ডাকসুর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
ঢাবির হল গঠনতন্ত্রের ৬ (বি) ও ৭ (এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৫টি পদে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পদগুলো হচ্ছে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, সংস্কৃতি সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক এবং ১৩টি সদস্য পদ।
তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে এবার ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এরপর আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে একাই কয়েক দফা অনশন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ অনুষদের সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফ।
সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলেও চারদফা দাবিতে অনশনে বসেন তিনি। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশনে বসলে ওয়ালিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।