রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আজ রোববার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যান। তিনি কিছু সময় সেখানে অবস্থান করেন।
বিএসএমএমইউর সিসিইউতে ভর্তি আছেন ওবায়দুল কাদের। রাষ্ট্রপতি হাসপাতালে গিয়ে ডি ব্লকের দোতলায় কার্ডিওলজি বিভাগে যান তাঁকে দেখতে।
এর আগে রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ঢাকায় ফিরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিএসএমএমইউতে কাদেরকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে চলে যান।
রাষ্ট্রপতি হাসপাতালে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দেখতে হাসপাতালে যান।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়। এদিকে ওবায়দুল কাদেরকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা জানান বিএসএমএমইউ-এর প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক। তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ার কারণে তাকে বিশেষ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে হৃদযন্ত্রে পাওয়া তিনটি ব্লকের মধ্যে একটিতে স্টেন্ট (রিং) পরানোর পরও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষ চিকিৎসক দল ঢাকায় আসছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চিকিৎসকরা রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দায়িত্বশীল সূত্র।
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার আগে ছয় বছর তিনি দলের সভাপতি মণ্ডলীতে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন কাদের। সেখান থেকেই তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পর পর দুই মেয়াদে তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকোলে কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) অধিনায়ক কাদের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে। মোট চারবার তিনি নোয়াখালী-৫ আসনের ভোটারদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে এসেছেন।