ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে কাশ্মীরী শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জম্মুসহ উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে। রিজওয়ান পণ্ডিত নামের ওই শিক্ষককে শনিবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার তার রহস্যজনক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কাশ্মীরীরা। তাদের অভিযোগ রিজওয়ানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চীন সফরে গিয়ে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। একইসঙ্গে, কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় নীতিকে অকার্যকর বলেও আখ্যা দেন তিনি। এরমধ্যেই, পুলওয়ামায় হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
বিক্ষোভ দমাতে টিয়াল শেল ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাশ্মীরের রাজনীতিবীদরা।
চীন সফরে গিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তিনি জম্মু কাশ্মীরে, পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর নীতি অনুসরণে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানান।
শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের কাশ্মীর অংশের পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। উদ্বেগজনক এসব কর্মকাণ্ডের কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ছে। এ ধরনের আচরণ অবশ্যই পরিহার করা উচিৎ। ভারতীয়রা জম্মু কাশ্মীর সংকট কীভাবে সমাধান করবে এ নিয়ে তাদের নতুন করে চিন্তা করা উচিৎ। কারণ, নয়াদিল্লির পুরানো কাশ্মীর নীতির কার্যকরিতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। পুলওয়ামার ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়ায় ইসলামাবাদের প্রশংসা করেন তিনি।