নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপির অনেক সমর্থকরা আজ রোববার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন ও ভোট দেন।
এদের মধ্যে একজন ভোটার ভোট না দিয়ে ব্যালট পেপারে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ও ‘আমার মা জেলে কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়ে নির্বাচনী মাঠ গরম করে দেন।
তবে বিএনপি আলোচনায় আসতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে এমন ঘটনা সৃষ্টি করেছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ করেন।
রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যালটে লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল না দিয়ে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত ভোটাররা। তারা সেই ব্যালট পেপার বাক্সে না ফেলে পকেটে করে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে দেয়।
ব্যালট পেপারে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ও ‘আমার মা জেলে কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই’ ডিজিটাল তৈরিকৃত সিল মেরে এভাবে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর প্রচারে সোনারগাঁ উপজেলার ছাত্রদল লিখে বিএনপির অনেকে নেতাকর্মীদের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া ফেসবুকে রুহুল আমিন নামের এক আইডিতে বেশ কয়েকটি সিল মারা ব্যালট পেপার পোস্ট করা হয়। রুহুল আমিন জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। আর তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। তবে রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর জানান, নির্বাচনের ব্যালট পেপারে ভোট না দিয়ে কে বা কারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সিল মেরেছে তা আমার জানা নাই। তবে কেউ যদি ব্যালট পেপারে সিল মেরে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষোভে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন ঘটে থাকে তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।