নবীনগরে ব্রীজের সঙ্গে মাটির সংযোগ না থাকায় দুর্ভোগ

নবীনগর থেকে সৈম আকবর

ব্রিজটি বড়াইল অংশে মাটির সংযোগ না থাকায় এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে স্থানীয় জনগণ



১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ ব্রীজটির বড়াইল ইউপি অংশে মাটির সংযোগ না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে এলাকাবাসী ব্রিজটি নির্মাণের সুফল পাচ্ছে না।

universel cardiac hospital

নবীনগরের কৃষ্ণনগরের পাগলী নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। দাবি পূরণও হয়েছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অথচ এই কাজে খুব বেশি যে টাকা পয়সা খরচ হবে এমন নয়। শুধুমাত্র ব্রিজের একপাশে মাটির ভরাট করলেই ব্রিজটি পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হয়। আর না হওয়ায় এ সুযোগটা নিচ্ছে স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগী লোক।


ব্রীজে সাথে বাঁশের মই লাগিয়ে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা উঠানো হচ্ছে। ছবি : মত ও পথ

জানা যায়, ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার পূর্ব থেকেই ঘাটটি ইজারাদারে মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।  নদী পারাপারে ইজারাদারকে জনপ্রতি ৫ টাকা দিতে হয়। এখন নদীতে কুচুরিপানার কারণে নৌকা চলাচল করতে অসুবিধা হয়। আর এ সুযোগে ব্রীজে সাথে বাঁশের মই লাগিয়ে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা উঠানো হচ্ছে।

বর্তমানে নির্মিত ব্রীজের উপর দিয়ে আসা যাওয়ার সময় যাত্রী প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা এবং মোটরবাইক থেকে ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।


নদী পারাপারে ইজারাদারকে জনপ্রতি ৫ টাকা দিতে হয়। এখন নদীতে কুচুরিপানার কারণে নৌকা চলাচল করতে অসুবিধা হয়। আর এ সুযোগে ব্রীজে সাথে বাঁশের মই লাগিয়ে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা উঠানো হচ্ছে।

এদিকে ব্রীজের সঙ্গে মাটির সংযোগ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। একই সঙ্গে যোগ হয়েছে জীবনের নিরাপত্তার অভাব। যে কোন সময় মই ভেঙ্গে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে এলকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ থাকলে দেখার কেউ নাই।

উল্লেখ্য, ১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ ব্রীজটির বড়াইল ইউপি অংশে মাটির সংযোগ না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে এলাকাবাসী ব্রিজটি নির্মাণের সুফল পাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে