বিমানবন্দরে ‘ভিআইপিদের’ তল্লাশি শিথিল চায় সংসদীয় কমিটি

ডেস্ক রিপোর্ট

সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

“ভিআইপিদের বেলায় নিরাপত্তা তল্লাশি কিছুটা শিথিল করা যায় কি না, যেমন বেল্ট, জুতা খোলানো এটা যেন না করা হয়।”

দেশের বিমানবন্দরগুলোতে সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি শিথিল এবং তাদের জন্য আলাদা লাইন করার অনুরোধ করেছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।

গতকাল রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুরোধ জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, বৈঠকে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশি নিয়ে আলোচনা হয়। একজন সংসদ সদস্য বলেন, নিরাপত্তা তল্লাশির প্রয়োজন রয়েছে। তবে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের কোমরের বেল্ট বা জুতা খোলানোর বিষয়টি শিথিল করা যায় কি না, তা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য নিরাপত্তা তল্লাশির আলাদা লাইন করা যেতে পারে।

“কমিটির অন্য সদস্যরাও এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিমান মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন।”

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খেলনা পিস্তল নিয়ে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর হয়েই উড়োজাহাজে উঠে পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক পাইলট-ক্রুদের জিম্মি করেছিলেন, পরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানে তিনি মারা পড়েন। এরপর বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা তল্লাশি নিয়ে তুমুল আলোচনার পর সব বিমানবন্দরে তা আরও কড়া করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, “সবাইকে নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়েই যেতে হবে। তবে নিরাপত্তা তল্লাশির ক্ষেত্রে যাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির অপর এক সদস্য বলেন, “ভিআইপিদের বেলায় নিরাপত্তা তল্লাশি কিছুটা শিথিল করা যায় কি না, যেমন বেল্ট, জুতা খোলানো এটা যেন না করা হয়।”

কমিটির একজন সদস্য বৈঠকে অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ বিমানের টিকিট চেয়ে পাননি। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ওই ফ্লাইটে আসন খালি ছিল। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছে কমিটি।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে পরিবেশবান্ধব করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরও উন্নত করা, সেইন্ট মার্টিনের পাশাপাশি সোনাদিয়া, মহেশখালী দ্বীপকে পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে কমিটি।

এছাড়া বিমানের আসন খালি না রেখে সব টিকেট যেন বিক্রি হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার অংশ নেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে