উপকূলের ১৯ জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ফনি ধেয়ে আসছে। এটি শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ফনির সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চল। এ জন্য উপকূলের ১৯ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী ৩ ও ৪ মে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত সংশ্লিষ্ট দফতর খোলা থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফনির আশঙ্কা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব নৌযান বন্দরে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) উৎপল কুমার দাস জানিয়েছেন, ফনি সামনে রেখে উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোলরুম)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

তিনি বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত, তারা কাজও শুরু করেছেন। এ ছাড়া সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) হেডকোয়ার্টার উপকূলীয় জেলাগুলোতে কাজ শুরু করেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর অফিস আদেশে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব শাখা ১ মে থেকে প্রতিদিন খোলা থাকবে।

একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় ও জরুরি সাড়াদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১ মে থেকে ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে দুই নদীবন্দর পায়রা ও মোংলাকে সাত নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফনি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ধীরে এগিয়ে এলেও ফনি বেশ শক্তিশালী হয়ে গেছে। এখন তার গতি বেড়ে গেছে। এ কারণে বাংলাদেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সারা দেশে নৌচলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলকায় সতর্ক সংকেত জারি করে সব সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে