ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঘরচাপা পড়ে তিন জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক জন, বরগুনায় ২ এবং ভোলায় এক। এছাড়াও এসময় আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন। শনিবার এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ঘরচাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- নুরজাহান বেগম (৬০) কালিয়ার খাল এলাকায় আব্দুল বারেকের স্ত্রী ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)।
চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঘুর্ণিঝড়ে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
অপরদিকে দৌলতখানের মদনপুর এলাকায় ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সূর্বণচরের মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ফণীর অগ্রভাগ থেকে সৃষ্ট প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঝড়ে ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা।
শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলায় এ ঝড় আঘাত হানে। নিহত ও আহতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি।
একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।